সমঝোতার ‘নির্বাচনে’ যাচ্ছে বিজিএমইএ
ডেস্ক রিপোর্ট
« আগের সংবাদ | ![]() |
পরের সংবাদ» |

ঢাকা: পোশাক শিল্প মালিকদের ক্ষমতাধর সংগঠন বিজিএমইএতে এবার সমঝোতার নির্বাচন হচ্ছে।
সংগঠনটির নেতৃত্বের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ায় আগামী মেয়াদে সংগঠনটির সভাপতি হতে যাচ্ছেন সম্মিলিত পরিষদের প্রতিনিধি ও স্টারলিং গ্রুপের কর্ণধার সিদ্দিকুর রহমান।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে বিজিএমইএর নেতৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণের মূলে থাকবেন সাবেক সভাপতিরা। আর সদস্যদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ না থাকায় নির্বাচিত সভাপতিদের জবাবদিহিতাও থাকছে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির কিছু সদস্য।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ছিল বিজিএমইএর ৩৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদিন ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে পরিষদের ১৯ ও ফোরামের ১৬ জন। আগে থেকেই কথা ছিল, এবার ৩৫ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে আগামী মেয়াদে নির্বাচন হবে।
সূত্র জানায়, অতিরিক্ত তিন মনোনয়ন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সম্মিলিত পরিষদের সিদ্দিকুর রহমান, যিনি দুটি ইউনিটের মাধ্যমে মনোনয়ন চেয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থী মনোনয়নের আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাদের মধ্যে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য দেয়া ১৫ দিন সময়সীমার মধ্যে এ দুই প্রার্থী নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ফলে আগামী মেয়াদে বিজিএমইএ নির্বাচন হওয়ার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। আর পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি হওয়ার বিষয়টিও প্রায় নিশ্চিত।
২০১৩-১৪ মেয়াদ পর্যন্ত বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন ২৭ জন। এর পর ২০১৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্ষদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫-এ উন্নীত করা হয়। এরপর কয়েক দফা আলোচনা শেষে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে পরিচালনা পর্ষদে প্রার্থী দিতে একমত হন সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নেতারা।
তবে মনোনয়ন প্রার্থীর সংখ্যা ৩৫-এর বেশি হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেন তারা। মনোনয়ন নেয়ার শেষ দিনে গতকাল দুজন অতিরিক্ত প্রার্থীর নাম জমা পড়লেও তারা তা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিজিএমইএ নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন জানান, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রার্থিতা জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল। এ সময়ের মধ্যে পরিষদ ও ফোরাম নিজ নিজ প্রার্থিতা জমা দিয়েছে। অতিরিক্ত দুজন ১৫ তারিখের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে নির্বাচন হবে না।
জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার অতিরিক্ত দুই প্রার্থী নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলে অবশিষ্ট ৩৫ পরিচালক মিলেই নতুন সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন।
নিজেদের মধ্যে আগে থেকেই বোঝাপড়া থাকায় পরবর্তী সভাপতি ও সহসভাপতির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। এর আগের মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদে সভাপতিসহ মোট পাঁচজন অফিস বিয়ারার (পদাধিকারী কর্মকর্তা) থাকলেও এবার অফিস বিয়ারার হবেন আটজন।
নতুন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রথম সহসভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম জোনের মইনুদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান এবং দ্বিতীয় সহসভাপতি এসএম মান্নানের নির্বাচন চূড়ান্ত প্রায়। এছাড়া বাকি চার সহসভাপতির মধ্যে আছেন— মোহাম্মদ নাসির, মাহমুদ হাসান খান বাবু, ফেরদৌস পারভেজ বিভন ও মো. ফেরদৌস।
সূত্র জানায়, গত মাসে পরিষদ ও ফোরামের বৈঠকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়। সংসদ সদস্য ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি টিপু মুন্সী এবং আরেক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী যথাক্রমে ওই কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। এ কমিটিই নতুন নেতাদের চূড়ান্ত করেছেন।
সাবেক সভাপতিদের সমন্বয়ে দুপক্ষের সমঝোতা অনুযায়ী আগামী দুই মেয়াদের প্রথম দুই বছরের জন্য সম্মিলিত পরিষদ থেকে সভাপতি হবেন। পরের দুই বছরের জন্য সভাপতির পদটি পাবে ফোরাম। সেই হিসাবে আসছে আগামী মেয়াদে বিজিএমইএর সভাপতি হতে পারেন ২০১১-১২ মেয়াদের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
এদিকে আগামী দুই বছরের জন্য সম্মিলিত পরিষদ সভাপতিসহ ঢাকায় তিন ও চট্টগ্রামে একটি সহসভাপতির পদ এবং ফোরাম ঢাকায় দুই ও চট্টগ্রামে একটি সহসভাপতি পদ পাবে। পরের বছর দুপক্ষের মধ্যে এ সংখ্যক পদ বিনিময়ের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে।
তৃতীয় মেয়াদ থেকে পরিষদ ও ফোরাম একীভূত হওয়ার কথা রয়েছে। সাবেক সভাপতিদের ওই কমিটিই সভাপতিসহ অন্য পদের জন্য প্রার্থী নির্ধারণ করে দেবে।
বোঝাপড়ার এ প্রক্রিয়ায় বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচন করায় ভোট দেয়ার সুযোগ হারিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সংগঠনটির মোট ২,১৬১ সদস্য।
সংগঠনটির নেতৃত্বের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দুই পক্ষ সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে প্রার্থী দাঁড় করাচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ায় আগামী মেয়াদে সংগঠনটির সভাপতি হতে যাচ্ছেন সম্মিলিত পরিষদের প্রতিনিধি ও স্টারলিং গ্রুপের কর্ণধার সিদ্দিকুর রহমান।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে বিজিএমইএর নেতৃত্ব এবং নিয়ন্ত্রণের মূলে থাকবেন সাবেক সভাপতিরা। আর সদস্যদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ না থাকায় নির্বাচিত সভাপতিদের জবাবদিহিতাও থাকছে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির কিছু সদস্য।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ছিল বিজিএমইএর ৩৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এদিন ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে পরিষদের ১৯ ও ফোরামের ১৬ জন। আগে থেকেই কথা ছিল, এবার ৩৫ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে আগামী মেয়াদে নির্বাচন হবে।
সূত্র জানায়, অতিরিক্ত তিন মনোনয়ন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সম্মিলিত পরিষদের সিদ্দিকুর রহমান, যিনি দুটি ইউনিটের মাধ্যমে মনোনয়ন চেয়েছেন। অন্য দুই প্রার্থী মনোনয়নের আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাদের মধ্যে সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য দেয়া ১৫ দিন সময়সীমার মধ্যে এ দুই প্রার্থী নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ফলে আগামী মেয়াদে বিজিএমইএ নির্বাচন হওয়ার কোনো প্রয়োজন থাকবে না। আর পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি হওয়ার বিষয়টিও প্রায় নিশ্চিত।
২০১৩-১৪ মেয়াদ পর্যন্ত বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন ২৭ জন। এর পর ২০১৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্ষদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৫-এ উন্নীত করা হয়। এরপর কয়েক দফা আলোচনা শেষে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে পরিচালনা পর্ষদে প্রার্থী দিতে একমত হন সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নেতারা।
তবে মনোনয়ন প্রার্থীর সংখ্যা ৩৫-এর বেশি হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেন তারা। মনোনয়ন নেয়ার শেষ দিনে গতকাল দুজন অতিরিক্ত প্রার্থীর নাম জমা পড়লেও তারা তা প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে জানা গেছে।
বিজিএমইএ নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন জানান, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রার্থিতা জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল। এ সময়ের মধ্যে পরিষদ ও ফোরাম নিজ নিজ প্রার্থিতা জমা দিয়েছে। অতিরিক্ত দুজন ১৫ তারিখের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে নির্বাচন হবে না।
জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার অতিরিক্ত দুই প্রার্থী নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলে অবশিষ্ট ৩৫ পরিচালক মিলেই নতুন সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করবেন।
নিজেদের মধ্যে আগে থেকেই বোঝাপড়া থাকায় পরবর্তী সভাপতি ও সহসভাপতির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। এর আগের মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদে সভাপতিসহ মোট পাঁচজন অফিস বিয়ারার (পদাধিকারী কর্মকর্তা) থাকলেও এবার অফিস বিয়ারার হবেন আটজন।
নতুন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রথম সহসভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম জোনের মইনুদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান এবং দ্বিতীয় সহসভাপতি এসএম মান্নানের নির্বাচন চূড়ান্ত প্রায়। এছাড়া বাকি চার সহসভাপতির মধ্যে আছেন— মোহাম্মদ নাসির, মাহমুদ হাসান খান বাবু, ফেরদৌস পারভেজ বিভন ও মো. ফেরদৌস।
সূত্র জানায়, গত মাসে পরিষদ ও ফোরামের বৈঠকে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়। সংসদ সদস্য ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি টিপু মুন্সী এবং আরেক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী যথাক্রমে ওই কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব। এ কমিটিই নতুন নেতাদের চূড়ান্ত করেছেন।
সাবেক সভাপতিদের সমন্বয়ে দুপক্ষের সমঝোতা অনুযায়ী আগামী দুই মেয়াদের প্রথম দুই বছরের জন্য সম্মিলিত পরিষদ থেকে সভাপতি হবেন। পরের দুই বছরের জন্য সভাপতির পদটি পাবে ফোরাম। সেই হিসাবে আসছে আগামী মেয়াদে বিজিএমইএর সভাপতি হতে পারেন ২০১১-১২ মেয়াদের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
এদিকে আগামী দুই বছরের জন্য সম্মিলিত পরিষদ সভাপতিসহ ঢাকায় তিন ও চট্টগ্রামে একটি সহসভাপতির পদ এবং ফোরাম ঢাকায় দুই ও চট্টগ্রামে একটি সহসভাপতি পদ পাবে। পরের বছর দুপক্ষের মধ্যে এ সংখ্যক পদ বিনিময়ের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে।
তৃতীয় মেয়াদ থেকে পরিষদ ও ফোরাম একীভূত হওয়ার কথা রয়েছে। সাবেক সভাপতিদের ওই কমিটিই সভাপতিসহ অন্য পদের জন্য প্রার্থী নির্ধারণ করে দেবে।
বোঝাপড়ার এ প্রক্রিয়ায় বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচন করায় ভোট দেয়ার সুযোগ হারিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামে সংগঠনটির মোট ২,১৬১ সদস্য।