কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশ পেটানোর মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল, কুষ্টিয়া
« আগের সংবাদ | ![]() |
পরের সংবাদ» |

পুলিশ সদস্যদের মারপিটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম জোয়ার্দারকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল দুপুরে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিরপুর থানার দুই উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে দায়িত্ব পালনকালে মারপিট ছাড়াও পোষাক ছিড়ে ফেলা, অস্ত্র ছিনতাই চেষ্টাসহ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। একই মামলায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতির ছোট ভাই হিরক জোয়ার্দারকে গ্রেফতার করা হয়। মারপিটের শিকার মিরপুর থানার এসআই ওসমান জানান, ২৯ জুলাই রাতে উপজেলার কাঁচা বাজার এলাকায় বকুল নামে এক আনারস বিক্রেতার কাছে আনারস কিনতে যান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম জোয়ার্দার। আনারস মানসম্মত নয় বলে দিতে না চাইলে আনারস বিক্রেতাকে বেধড়ক মারপিট করেন তিনি। তার চিৎকারে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এসআই ওসমান। এ সময় যুবলীগ নেতার ছোটভাই হিরক জোয়ার্দার ও তার লোকজন তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের চ্যালেঞ্জ করলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের লাথি, ঘুষি ও মারপিট করে পোষাক ছিড়ে দেওয়াসহ অস্ত্র ছিনতায়ের চেষ্টা করে যুবলীগ নেতার ভাই ও তার লোকজন। খবর পেয়ে এসআই হালিম সেখানে উপস্থিত হলে তার ওপরও হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় এসআই ওসমান বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, পুলিশ নির্যাতন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মিরপুর থানার এসআই ওসমানের করা মামলায় অভিযুক্ত আসামি হিসেবে মিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম জোয়ার্দার ও তার ছোট ভাই হিরক জোয়ার্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, পুলিশ নির্যাতন ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মিরপুর থানার এসআই ওসমানের করা মামলায় অভিযুক্ত আসামি হিসেবে মিরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম জোয়ার্দার ও তার ছোট ভাই হিরক জোয়ার্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলছে।